ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অধীন দিয়ারা অপারেশন এর মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ৭টি মৌজার জরিপ সবচেয়ে কম সময়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার কর্তৃক ১২/৪/২০১৬ তারিখে ০৫.২০.২২০০.১২৮.১৩.০০৬.২০১৫(অংশ-১)-৪৭৩ সংখ্যক স্মারকে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত বঙ্গোপসাগর গর্ভে (সোনাদিয়া দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমে) জরিপের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। প্রস্তাবিত দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা জোয়ারের সময় ৪/৫ ফুট পানিতে তলিয়ে যেত অবশিষ্ট অংশ প্যারাবনে আচ্ছাদিত ছিল মোটকথা দুর্গম এলাকাটি জরিপের কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হয় দিয়ারা অপারেশনকে। জেলা প্রশাসকের নিকট হতে প্রস্তাবটি পাওয়ার পর জরিপের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর জেগে উঠা দ্বীপের মৌজা গঠনের জন্য জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারের নিকট মৌজার নামকরণ প্রস্তাব চাওয়া হয়। নামকরণের জটিলতা এবং বর্ষা মৌসুম এসে যাওয়ায় ২০১৬ সনে কাজ শুরু করা যায়নি।
জেলা প্রশাসকের নিকট হতে ২২/৯/২০১৬ তারিখে ০৫.২০.২২০০.১২৮.১৩.০০৬.২০১৫(অংশ-১)-১১০৬ সংখ্যক স্মারকে ৭টি মৌজার নাম প্রস্তাব পাওয়া যায়। নামের প্রস্তাব পাওয়ার পর উক্ত ৭টি মৌজার নামকরণ, নামের গেজেট করণ, জিওডেটিক পিলার নির্মাণ, পিলারের স্যাটেলাইট মান নির্ণয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাটা সংগ্রহ, ম্যাপ প্রসেস, ডিজিটাল মৌজা ম্যাপ প্রস্তুত, রেকর্ড (খতিয়ান) প্রস্তুত, প্রকাশনা, গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং রেকর্ড ও নকশা জেলা প্রশাসকের নিকট ০২/০১/২০১৮ তারিখে হস্তান্তরের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয়েছে মাত্র ২০ মাসে। এটি জরিপ কাজের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সময়ে সম্পাদিত জরিপ। একাজে সহায়তা করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়, জেলা প্রশাসন কক্সবাজার ও উপজেলা প্রশাসন, মহেশখালীকে এবং এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যারা দুর্গম প্যারাবন, সাগরের কাদা আর নোনা জলে কষ্ট করে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
সংক্ষিপ্ততম সময়ে জরিপকৃত ৭টি মৌজার তথ্য নিম্নরূপ :
ক্রম |
মৌজার নাম |
জেএল নম্বর |
জেলা প্রশাসকের নিকট রেকর্ড হস্তান্তর |
০১ |
দক্ষিণ ধলঘাটা |
৩২ |
০২/০১/২০১৮ |
০২ |
সমুদ্র বিজয় |
৩৩ |
০২/০১/২০১৮ |
০৩ |
বিজয় একাত্তর |
৩৪ |
০২/০১/২০১৮ |
০৪ |
দক্ষিণ কুতুবজোম |
৩৫ |
০২/০১/২০১৮ |
০৫ |
সমুদ্র বিলাস |
৩৬ |
০২/০১/২০১৮ |
০৬ |
পানদ্বীপ |
৩৮ |
০২/০১/২০১৮ |
০৭ |
চরমোহনা |
৩৯ |
০২/০১/২০১৮ |